ভীমরুলীর বিখ্যাত ভাসমান পেয়ারা বাজার

ভীমরুলীর বিখ্যাত ভাসমান পেয়ারা বাজার

দূর্জয় দাস, ভীমরুলী থেকে ঘুরে: বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠী জেলা শহর থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে ভিমরুলী গ্রামে।

 গ্রামের খালজুড়ে ব্রীজ দুই পাড়েই প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত  চলে পেয়ারা বেচাকেনা । এছাড়াও পাওয়া যায় লেবু যার দাম বাজার তুলনায়ে আনেক কম, পেয়ারার মৌসুম শেষ হলে এখানেই পাওয়া যায় আমরা ও সুপারি।

খালের উপরের থাকা ছোট একটি সেতু। সেখান থেকে বাজারটি খুব ভালো করে দেখা যায়। ওখানে আসা সব নৌকাগুলোর আকার আর ডিজাইন প্রায় একই রকম। এছাড়াও আনেক   ছোট ছোট নৌকা  থেকে পেয়ারা সংগ্রহ করে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় পাইকারী বিক্রতাদের নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য অনুভাব করা যায় খুব কাজ থেকেই। নৌকা গুলো বেশি দেখা যায় দুপুর ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত, ভিমরুলী বাজারের খালে এসময় ছোট বড় মিলেয়ে প্রায় দুইশত নৌকা সমরহ হয়।   

বাজারের তিন দিক থেকে তিনটি খাল এসে মিশেছে ভিমরুলির বাজারের আশপাশের সব গ্রামেই অগনিত পেয়ারা বাগান। এসব গ্রামে পথে ধরা দেবে দৃষ্টিনন্দন সবুজের সমারহ। এসব সবুজের বেশিরভাগ আমড়া আর পেয়ারার বন। এসব বাগান থেকে নৌকায় করে সরাসরি পেয়ারা চাষীরা নিয়ে আসেন ভিমরুলী বাজারে । বছরের জুলাই, আগষ্ট, সেপ্টেম্বর মাসেই পেয়ারার মৌসুম এর যেকোন মাসে গেলেই আপনি অপরুপ সৌন্দর্য ঘেরা  ভাসমান পেয়ার বাজার দেখতে পাবেন। আপনি পেয়ারার বাগান যেতে চাইলে  ৫০০- ১০০০ টাকার মধ্যে এইটি নৌকা ভাড়া করে ঘুরে আসতে পারেন। দুপুরে খাওয়ার জন্য পেয়ে যাবে বাজারের পাশে খালের পাড়ে ভাসমান হোটেল তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে “বৈদির ভাসমান হোটেল“। ভীমরুলে থাকার কোন ব্যবস্থ নেই এখন পর্যন্ত, কিন্তু কাজ শুরু হয়েছে রেষ্ট হাউজের।  আপনাকে রাতে থাকার জন্য ফিরে আসতে হবে জেলা শহর  ঝালকাঠীতে ওখানে পেয়ে যাবেন আবশিক হোটেল।